‘ভাই আপনার বিকাশ নম্বরে ভুল করে আমার টাকা গেছে।’ টাকার পরিমাণও বলা হয়। একটি নম্বর দিয়ে টাকা পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। দিনভর চেষ্টার পর কেউ না কেউ তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দেন।
তাদেরই একজন ময়মনসিংহ নগরীর গৃহিনী ফারজানা। তার বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার টাকা পাঠান এক স্বজন। কিন্তু এই প্রতারক চক্রের এক সদস্য তাকে ফোন করে জানায়, ভুল করে টাকা গেছে। এভাবে তার কাছ থেকে ১ লাখ ৩৮ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
এ ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল ফারজানার স্বামী মঞ্জুর আহমদ মিলন কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায়
মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার চর মহেষপুর (মধ্যপাড়া) গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. মাসুদ মোল্লাকে।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, তাকে ধরতে গিয়ে চক্রটির নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রটির হোতারা নিজ এলাকায় থেকেই বিকাশের মাধ্যমে টাকা তুলে নেয়। বিভিন্ন জেলায় নিজেদের লোক রেখে প্রতারণা করে তারা। প্রতারণার টাকায় তাদের বাড়িঘরের চিত্র পাল্টে গেছে। এলাকার প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় প্রতারণার কাজ চালিয়ে যেতে পারছে।
তিনি আরও জানান, মাগুরা জেলার ওই গ্রামটি ও আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষের পেশা হয়ে উঠেছে প্রতারণা। একেক গ্রুপে অন্তত ১২ জন করে সদস্য রয়েছে। ৩০টি গ্রুপ রয়েছে এলাকায়। চক্রটির নেটওয়ার্ক রয়েছেন দেশের প্রায় সব জেলায়। বিকাশ এজেন্টগুলোকে তারা টার্গেট করে অপেক্ষায় থাকেন। কেউ কাউকে টাকা পাঠনোর পর সঙ্গে সঙ্গে নম্বর দেয়া হয় চক্রের সদস্যদের কাছে।